ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান পুলিশবাহিনী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের লুণ্ঠন, অর্থপাচার, অনাচার ও অবিচারের পাহারাদার।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ার চর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা সেফায়েত উল্লাহ ও ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়াকে আজ সকালে বিএনপির অবরোধ পালনকালে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড কাপুরুষোচিত। অবৈধ আওয়ামী সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমস্ত নিয়মকানুন পদদলিত করে জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে পুলিশ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য শেখ হাসিনা পুলিশকে নির্বিচারে হত্যা করার লাইসেন্স দিয়েছেন। বর্তমান পুলিশ বাহিনী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, অনাচার ও অবিচারের পাহারাদার।
পুলিশ এখন আর রাষ্ট্রীয় বাহিনী নয়, এরা শেখ হাসিনার প্রাইভেট বরকন্দাজের ভূমিকা পালন করছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরা আইনানুগ আচরণ করতে ভুলে গেছে। বিএনপির ডাকা ও সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল সমর্থিত শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিকে এরা রক্তাক্ত পন্থায় দমন করতে চাইছে।
তিনি বলেন, এরা ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ সারাদেশেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অবরোধ কর্মসূচিকে বানচাল করার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে। আত্মত্যাগের অঙ্গীকারে বলীয়ান নেতাকর্মী নিজের জীবন তুচ্ছ করে অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে এগিয়ে চলেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অবিলম্বে নিহত সেফায়েত উল্লাহ ও বিল্লাল মিয়ার লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জোর দাবি জানান।
এর আগে, ঢাকায় ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে’ ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে বিএনপি। তাদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, এবি পার্টিসহ কয়েকটি দল-জোটও এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা বা সমর্থন দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
টিএ/এসআইএস