ঢাকা: সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিসহ নানা ইস্যুতে সারা দেশে তিনদিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত গণতন্ত্র মঞ্চ।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজার সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশে এলে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলটি প্রথমে মেহেরবা প্লাজার সামনে থেকে শুরু হয়ে বিজয় নগর পানির ট্যাংকি হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসে। সেখান থেকে ঘুরে মিছিলটি ফের মেহেরবা প্লাজার দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা গণতন্ত্র মঞ্চের ব্যানার টেনে নিয়ে যেতে চান। মিছিলেও বাধা দেন তারা। এ সময় মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
এ ঘটনার পর ওই স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সফলভাবে সর্বাত্মক অবরোধ পালন করছে জনগণ। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিয়েছে সরকার। এটা করে কোনোভাবেই আন্দোলন দমন করা যাবে না। পুলিশ আমাদের প্রতিরোধ করছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দুর্বলতা ভাববেন না।
সাকি আরও বলেন, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে দেশের মানুষ আজ একাট্টা। তারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার বদল করে একটা নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বন্দোবস্ত করতে চায়। তার জন্য এই রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সংবিধানের সংস্কার করে সব দল গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নেবে, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
ইএসএস/এমজে