ফরিদপুর: বিএনপি-জামায়াতের তিন দিনের (৭২ ঘণ্টা) অবরোধের প্রথম দিন ফরিদপুরে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। রাস্তায় দূরপাল্লার পরিবহনের পরিমাণ কম হলেও তিন চাকার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অবরোধ পালনে মাঠে দেখা মেলেনি বিএনপি ও জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীদেরও। কোথাও কোনো অঘটনের সংবাদ শোনা যায়নি। তবে জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সতর্ক অবস্থায় জেলার সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় এমনই চিত্র দেখা গেছে।
ফরিদপুরের সদরপুরের মো. কবির হোসেন নামে এক সংবাদকর্মী জানান, সদরপুরে বিএনপির ডাকা অবরোধে কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রতিদিনের মতোই সব ধরনের যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। ব্যাংক-বিমা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ছিল প্রতিদিনের মতো। বাজারঘাটও ছিল খোলা।
জেলার সালথা উপজেলার বাসিন্দা সানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, সালথায় কোনো অবরোধ পালিত হতে দেখা যায়নি। নিত্যদিনের মতোই স্থানীয় যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। তবে সবার মধ্যেই একটি চিন্তার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। কাঁচাবাজারসহ সব ধরনের পণ্যের বেচাকেনা ছিল স্বাভাবিক। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর সংবাদ শোনা যায়নি।
নগরকান্দা উপজেলার বাসিন্দা মো. নাছির হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের উপজেলায় অবরোধের কোনো ছাপ দেখা যায়নি। স্কুল-কলেজ মাদরাসা খোলা ছিল। বাজারঘাটও ছিল নিত্যদিনের মতো। কোথাও কোনো অঘটনের খবর শোনা যায়নি।
তবে, জ্বালাও, পোড়াও, অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর ও হত্যা এবং হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে আজ সকাল ১১টার দিকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জেলা শহরের আলিপুরে অবস্থিত হাসিবুল হাসান লাভলু সড়কে নবনির্মিত আওয়ামী লীগ অফিস থেকে ওই মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা থেকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, হরতালে জেলায় যেকোনো ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
এসআরএস