সিলেট: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জিল্লুর রহমান (৪০) যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি। পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় জিল্লুরের মৃত্যু হয়েছে বলে বিএনপি ও যুবদলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ি
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ সুরমা এলাকায় মহাসড়কে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল যুবদল। এ সময় ১০/১২টি মোটরসাইকেলের একটিতে জিল্লুর ছিলেন। তাকে ধাওয়া করে পুলিশের পিকআপভ্যান মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় জিল্লুর। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানায় নিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতালে নিলে দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা বিকেল ৩টার দিকে তার মৃত্যু সংবাদ পেয়েছি।
জিল্লুর গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, তার মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে যুবদল সিলেটে হরতাল ডেকেছে। বিএনপি এই হরতালে পূর্ণ সমর্থন করছে।
এদিকে নিহত জিল্লুরকে দেখতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। জিল্লুর যুবদল নেতা দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ এখন বিভিন্ন জনকে দিয়ে ভিন্ন কথা বলাচ্ছে।
জিল্লুরের মৃত্যু দুর্ঘটনায় হয়েছে দাবি করে তার বড় ভাই বুলু মিয়া বলেন, এক কন্যাসন্তানের জনক তার ভাই জিল্লুর রহমান সকালে একটি আকিকা অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে একটি ট্রাকের সামনে থেকে নিজেকে বাঁচতে গিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জিল্লুর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার লালাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জিল্লুর রহমান গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ মদনগৌরী এলাকার এলাইছ মিয়ার ছেলে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামুদ্দোহা বলেন, জিল্লুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। পুলিশের গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়নি। নিহতের স্বজনরাও এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
এনইউ/এএটি