ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাজধানীতে অবরোধের সমর্থনে গণফোরামের মিছিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
রাজধানীতে অবরোধের সমর্থনে গণফোরামের মিছিল

ঢাকা: বৃহত্তর গণ আন্দোলনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে মিছিল করেছে গণফোরাম।  

রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আরামবাগ থেকে শুরু করে মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে নটরডেম কলেজের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয় গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির অবরোধ কর্মসূচি।

গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, অনেক স্বৈরাচারের পতন আমরা দেখেছি এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের বীর জনতার আন্দোলন সংগ্রামে পাকিস্তানিদের পতনও দেখেছি। সব কর্তৃত্ববাদী সরকার পতনের আগে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় কিন্তু জনগণের দুর্বার আন্দোলন ঠেকানোর কোন পথ তারা খুঁজে পায় না।  

তিনি আরও বলেন, জনগণের গণ আন্দোলনেই এ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে এবং জনগণের দাবি আদায় হবে। শেখ হাসিনা অবৈধ সরকারের পদত্যাগসহ যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ আন্দোলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাসসহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শিকার সব রাজবন্দিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করছি।

বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী বলেন, এদেশে দুর্নীতিবাজদের বিচার হয় না কিন্তু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রহসনের বিচার করেছে সরকার। অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের ওপর যে নির্যাতন নিপীড়ন করেছে তার বিচার এ বাংলাদেশের মাটিতে হবে। এদেশে আর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুক্তি নিশ্চিত করা হবে।

বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব মো. আবদুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে কিন্তু সরকার প্রধান অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ করে! দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ ধরনের অমানবিক কথা কীভাবে বলে! দেড় কোটি টাকা ঋণখেলাপি, কারা এরা! এরা সরকারের লোক না হলে এদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার কেন করা হয় না? বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জের মাধমে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা জনগণের ট্যাক্সের টাকা নষ্ট হয় দেখার কে আছে? জনগণের খবর জনতার সরকারই রাখে তাই এ সরকারের পতনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এতে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা হাসান, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন, মশিউর রহমান বাবুল, শেখ শহিদুল ইসলাম সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম সরদার, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুর চাকলাদার ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. লিটন জোয়ারর্দারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।