ঢাকা, শনিবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বগুড়ায় বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৬৫ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
বগুড়ায় বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৬৫ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশ, বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৬৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বগুড়া শেরপুর উপজেলা শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জাহিদুল ইসলাম (৩৮), শেরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহ্ মোহাম্মদ কাউসার আলী কলিংস (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল (৪৩), রায়হান কামাল রূপক (৩০) ও নয়ন মিয়া সুমন (২৮)।

শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলী বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও অসংখ্য ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পঞ্চম দফায় ডাকা অবরোধের প্রথম দিন বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জিএম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি হাসপাতাল রোড মোড়ে পৌঁছালে সেখানে উপজেলা যুবলীগের একটি মিছিলের মুখোমুখি হয়। এ সময় পুলিশ উভয়পক্ষকে বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  

এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের সময় শেরপুর থানার ওসি এবং আরও ৪ পুলিশসহ বিএনপি-যুবলীগ উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই শেরপুর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলী বাদী হয়ে ৬৫ নেতাকর্মীর নামে একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, তার ছেলে আসিফ রব্বানী সানভি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম তোতা, বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাংগঠনিক আব্দুল মোমিনসহ ৬৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।