ঢাকা: বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসী কাণ্ডে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও অংশীদার ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আগুন সন্ত্রাস মানবাধিকার লঙ্ঘন: রুখে দাও আগুন সন্ত্রাস’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, যে দলটির সৃষ্টি হয়েছিল সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে, তাদের কাছে তো মানবাধিকার আশা করা যায় না। সাংবিধানিকভাবে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দুজনেই নির্বাচন করতে অক্ষম। তাই নির্বাচনের কথা তারা ভাবলেও ভাবতে পারে, নাও ভাবতে পারে। তবে এখন তাদের আদেশেই হত্যাযজ্ঞের কার্যক্রম চলছে। তাদের আদেশেই পুলিশ সদস্যদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার সময় যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল এখনও সেরকমটিই চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। খুন করো, ধর্ষণ করো, যাই করো না কেন, বিচার করা যাবে না। সেই চুক্তিতে আবার শরিক হয়েছেন পিটার হাস সাহেব (বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত)।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, পিটার হাস বেশ কিছুদিন আগেই শ্যামল দাদাকে (শ্যামল দত্ত) বলেছিলেন বিএনপি কিন্তু সন্ত্রাস নিয়ে এগিয়ে যাবে। পিটার হাস এ গোপন তথ্য কীভাবে জানলেন? তাহলে অংশীদার ছিলেন! তিনিও বিএনপির সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন এ জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাসী কাণ্ডে। যাই হোক, এখন কিন্তু তিনি চুপ হয়ে গেছেন।
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. আফিজুর রহমান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূইয়া, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়, নারী অধিকার ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি মাহমুদা খানম মিলি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ।
সভায়, আগুন সন্ত্রাস মানবাধিকার লঙ্ঘন করে উল্লেখ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আগুন সন্ত্রাস একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটি শুধুমাত্র মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতিই করে না, বরং সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় সমস্যা, তাই এ সমস্যা সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এইচএমএস/জেএইচ