ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এমপি বাহারের নির্দেশে ২ সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
এমপি বাহারের নির্দেশে ২ সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ

কুমিল্লা: কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে দুই সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।  

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নগরীর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

 

হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- একাত্তর টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী এনামুল হক ফারুক ও ক্যামেরাপার্সন সাইদুর রহমান সোহাগ।  

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর এমপি বাহার বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশও দেন।  

কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, অফিসের লাইভ প্রোগ্রাম ছিল। যুক্ত হওয়ার জন্য স্টেডিয়াম এলাকায় আসি। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে তার নেতাকর্মীরা আমার ওপর হামলা করে। এসময় তারা আমার ক্যামেরাপার্সন সাইদুর রহমান সোহাগের ওপরও হামলা করে। তারা আমার মোবাইল ও লাইভ ডিভাইস লুটে নিয়ে গেছেন।

ক্যামেরাপার্সন সাইদুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা লাইভে যুক্ত। এমপি মহোদয় এসে আমাদের দেখিয়ে নেতাকর্মীদের বলেন, এই ‘ফারিক্কা (এনামুল হক ফারুক), ওই ফারিক্কা কুত্তার বাচ্চারে ধর। ’ এসময় নেতাকর্মীরা ফারুক (এনামুল হক ফারুক) ভাই ও আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। উনার পিএস আমাকে এলোপাতাড়ি মেরেছে। আমার পুরো শরীরে ব্যথা করছে। তারা মোবাইল ফোন ও লাইভ ডিভাইস নিয়ে গেছেন।  

প্রত্যক্ষদর্শী কুমিল্লা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক বাহার রায়হান বলেন, আমরা কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্বাচনী প্রচারণায় নিউজ কাভার করার জন্য আসি। সভা শেষে সাংবাদিকদের দেখে তিনি বলেন, কোনো টিভির সাংবাদিক আমার কাভারেজে আসবে না। তখনই একাত্তর টিভির সাংবাদিকদের দেখে তেড়ে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তার নেতাকর্মীরা একাত্তরের প্রতিনিধি ও ক্যামেরাপার্সনের গায়ে হাত তোলে। তাদের ডিভাইস ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুধু আজই নয়, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রচারণার প্রথমদিন কুমিল্লার চাঁনপুর এলাকায় তার উঠান বৈঠকে আমাকে দেখে স্টেজ থেকে মালটা দিয়ে ঢিল মারেন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তার কাছে কি আছে সবাই চেক কর।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোন দিলে অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন এমপি বাহার।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপি-জামায়াতের কোনো কর্মীকে নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ অভিযোগে কুমিল্লা সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে একদিনে দুটি শোকজ করা হয়েছে। পরে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) তাকে শোকজ করেন কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মো. সিরাজ উদ্দিন ইকবাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।