ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের ঢাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।
এতে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতার গত ৫২ বছর পেরিয়ে এখন চূড়ান্ত ক্রান্তিকাল চলছে বাংলাদেশে। গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, ভোটাধিকার, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান, বেঁচে থাকার অধিকার, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি, আন্দোলন-সংগ্রামের অধিকারসহ সকল অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বর্বরতম-নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক, একনায়কতন্ত্রে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশ। ১৮ কোটি জনগণকে বন্দুকের শাসনে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। বাংলাদেশকে একটি রাষ্ট্রের স্যাটেলাইট স্টেট করার চক্রান্ত চলছে। এই ভয়াবহ অনিশ্চিত, অন্ধকারময় সময়ে দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অধিকার আদায়ে প্রাণপণ লড়াই করছে বিএনপিসহ দেশের সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। গত দেড় দশকের মতোই আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট ডাকাত, গণবিচ্ছিন্ন শেখ হাসিনা আরও একটি পাতানো একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার সিলমোহর নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সিপাহসালার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ এক যুগান্তকারী কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন। আমি তারেক রহমান এবং বিএনপিসহ সকল আন্দোলনরত দল ও জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষণা করছি যে, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আজ থেকে ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকারকে সব ধরনের অসহযোগিতা শুরু করার বিকল্প নেই। জনগণের ভোটে একটি অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক তথা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি এই মুহূর্ত থেকে বর্তমান অবৈধ সরকারকে আর কোনো রকমের সহযোগিতা না করার জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে যা থাকছে -
১. আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন করুন। নির্বাচনের নামে ৭ জানুয়ারির ‘বানর খেলার আসরে’ অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এটি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার।
২. নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে গণভবনে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সুতরাং ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচনে’ ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন।
৩. বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন।
৪. ব্যাংকগুলো এই অবৈধ সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম। সুতরাং ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন।
৫. মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মী আপনারা আজ থেকে আদালতে মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আরও পড়ুন >> অসহযোগ আন্দোলনের ডাক বিএনপির
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
টিএ/এসএএইচ