সিলেট: সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলামসহ পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৪টায় নগরের বন্দরবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অসহযোগ আন্দোলনে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে গণসংযোগ কর্মসূচি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পদবিধারী এ দুই নেতা ছাড়া অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সিপন গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, নাশকতা মামলায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৪টি করে ৮টি মামলা রয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে এ দুই নেতাসহ পাঁচজনকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট বিএনপি।
সিলেট বিএনপির দাবি, শনিবার বিকেলে অসহযোগ আন্দোলনে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে গণসংযোগ কর্মসূচির শেষ দিনে বন্দরবাজার লালদিঘীর পার এলাকা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক'শ নেতাকর্মী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেন।
পরে বন্দরবাজার হাসান মার্কেটের সামনে আসা মাত্র পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিনসহ ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নিন্দা
এদিকে, শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ কর্মসূচি থেকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিনকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
বিএনপি নেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সৈনিকদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে ফ্যাসিবাদের শেষ রক্ষা হবে না। অবিলম্বে গ্রেপ্তার সব রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যতায় এর পরিণাম খুবই ভয়াবহ হবে।
এদিকে, সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে পৌরশহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ