ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বাংলাদেশের মতো অপরাজনীতি কোথাও নেই: কামরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
বাংলাদেশের মতো অপরাজনীতি কোথাও নেই: কামরুল ‘আগামী নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধার করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পৃথিবীর কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো অপরাজনীতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে যে বিভাজন সেই বিভাজনকে আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে দূর করব।

আমার লজ্জা হয়, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এই অপশক্তি দেশে রাজনীতি করছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এরকম অপশক্তি রাজনীতি করতে পারে না।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‘আগামী নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধার করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট।

বিএনপি দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, তারা নির্বাচন মানে না, কিছুই মানে না। তারা দেশটাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আগুনসন্ত্রাস করে তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন দিয়ে একটি বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে। এভাবে তারা আমাদের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিএনপি নির্বাচনে এলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিএনপি নির্বাচনে আসুক।

জনগণ আওয়ামী লীগের সাথে আছে দাবি করে তিনি বলেন, যেখানে শেখ হাসিনা স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, এবার নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে, বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। নির্বাচন কমিশনে সরকার কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না।

যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি, তাহলে এদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর কাছে আমরা প্রমাণ করতে পারব এরা কিছু না; জনগণের শক্তি বড় শক্তি। বিএনপি যতই আন্দোলন করুক, যাই করুক জনগণ তাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়। জনগণ আমাদের সাথে আছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এটা প্রমাণ করতে পারব।  

তিনি বলেন, যে বিদেশি শক্তি ’৭৪-এ কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে যে বিদেশি শক্তি জড়িত ছিল। এখন আবার সেই শক্তি একত্রিত হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের দেশের যে অর্জনগুলো রয়েছে সেটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান মনিরুল হকসহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।