নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের পোকা মাকড়ের মতো মেরে ফেলেছে। সেখানে মানবাধিকারের কথা মনে পড়ে না।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া স্কুল মাঠে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ভোট আপনারা যাকে ইচ্ছা দেবেন। এবারের ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা পক্ষ চাইবে মানুষ যেন ভোট দিতে না আসে। ’৭০ সালের নির্বাচনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট এবারের। ৭ তারিখ সকালে আপনারা ভোট দিতে চলে আসবেন।
তিনি বলেন, এদেশের স্বাধীনতা আনার জন্য ত্রিশ লাখ লোক জীবন দিয়েছে। দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রম গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের এলাকা এই জালকুড়ি। এত কিছুর বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি, এই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে। একটা শক্তি চাচ্ছে মানুষ যেন ভোট দিতে না পারে।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। তরুণ প্রজন্মকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। কিছু ছোট ছোট কাজ বাকি, গ্যাসের একটু সমস্যা আছে। এগুলো সমাধান করব। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো কাজ হল দুইশ বছর ধরে টানবাজারে একটা পতিতাপল্লী ছিল, সেটা উচ্ছেদ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা কষ্ট করি যেন আমাদের বাচ্চারা ভালো থাকে। এ সমাজের সমস্যা একটা পুরুষ রাতের দশটার সময় বাইরে গেলে বাবা-মা কিছু বলে না। কিন্তু একটা মেয়ে বের হতে চাইলে বাবা-মা না করে। কেন, রাস্তায় কি নরপশু থাকে। আমরা তো ছোটবেলায় এটা দেখিনি। সেসময় কোনো সমস্যা ছিল না। এখন কেন এ সমস্যা? এর মূল কারণ মাদক ও সন্ত্রাস। এবার আমি চিন্তা করেছি, মৃত্যুর আগে আল্লাহকে খুশি করে মরতে চাই। আমরা নির্বাচনের পরে মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিং বন্ধ করতে মানুষকে সচেতন করব। পাশাপাশি যেসব ছেলে-মেয়েদের টাকার জন্য লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়, তাদের জন্য ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
এমআরপি/এমজেএফ