ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বগুড়ায় বিএনপির ‘নিখোঁজ’ ২ নেতার সন্ধান মিলেছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
বগুড়ায় বিএনপির ‘নিখোঁজ’ ২ নেতার সন্ধান মিলেছে আনোয়ার হোসেন হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া: বগুড়ায় বিএনপি নিখোঁজ দুই নেতা দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন হৃদয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।  

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে আনোয়ারের নিজ বাড়িতে ফেরার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন তারই ভাতিজা নূর নবী।

এদিকে দেলোয়ার বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে তার স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলফোনে কল করে আলাপ করেছেন জানা গেছে।  

তবে আনোয়ার ও দেলোয়ার কোথায় এবং কীভাবে ছিলেন এ ব্যাপারে দুই পরিবারের কেউ মুখ খোলেননি।

আনোয়ারের বাড়ি ফেরার বিষয়টি পুলিশও নিশ্চিত করেছে।  

আনোয়ার বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে ও উপজেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক। এছাড়া তিনি বীরকেদার ইউপির সাবেক সদস্য।  

আর দেলোয়ার উপজেলা বিএনপির ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক।

আনোয়ারের ভাতিজা নুর নবী বাংলানিউজকে বলেন, আমার চাচা বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তিনি সুস্থ আছেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলেননি।

দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা খাতুন বলেন, গত বুধবার রাতে আমার স্বামী আমাকে মোবাইলফোনে কল দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, চিন্তার কিছু নেই। তিনি ভালো আছেন। তবে তিনি কোথায় আছেন কিছু জানাননি। শুধু বলেছেন, খুব শিগগিরই দেখা হবে।

বগুড়া নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ওমর আলী বলেন, নিখোঁজ দুই ব্যক্তির মধ্যে আনোয়ার তার বাড়িতে ফিরেছেন বলে অবগত হয়েছি। তিনি আসার পর কাউকে কিছু বলছেন না। আমরা এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছি। তবে দেলোয়ারের ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না।  

এর আগে আনোয়ার হোসেন হৃদয়কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ধারী সদস্যরা তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ছয়দিন ধরে নিখোঁজ ওই নেতার কোনো হদিস না মেলায় বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আহাজারি করে এসব জানান স্ত্রী আখি বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে আখি বেগম বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেরপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ধারী সদস্যরা আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমার স্বামী রাজনৈতিক হিংসা ও ক্ষোভের শিকার। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই। তারপরও তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত দুই সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায়, আতঙ্কে দিন পার করছি। গত ১৮ ডিসেম্বর শেরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও পুলিশি কোনো সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।