চট্টগ্রাম: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) মতো সিভিল সোসাইটি অর্গাইনাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, কিন্তু সংস্থাটি মাঝেমাঝে রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয়।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ নিয়ে টিআইবি আবার ব্যাখ্যা দিলে মন্ত্রী তার বিবৃতিতে বলেন, জনগণ টিআইবির কথায় বিভ্রান্ত হয়নি। আমার বিশ্লেষণে তারা ঠিক বুঝতে পেরেছে যে, ‘কোটপতি’ শব্দটি এখন বিশেষ কোনো ভার বহন করে না।
পদ্মাসেতুতে কল্পিত দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির নানা বিবৃতির কথা স্মরণ করিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন করবে না জানানোর পর টিআইবি বলেছিলো- বিকল্প উৎস হতে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা (দুর্নীতির অভিযোগ থেকে) দৃষ্টি সরানোর উপায় বলে মনে হতে পারে এবং যদি এ সিদ্ধান্ত সফলও হয় তাতেও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে না।
আবার তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের পদত্যাগের পর টিআইবি মন্তব্য করেছিল, এখন অনেক দেরি হয়ে গেল, কয়েক মাস আগে বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অভিযোগ আনলো তখনই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
অথচ পরে কানাডার ফেডারেল আদালতে প্রমাণ হয়েছে, পদ্মাসেতু নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি। অর্থাৎ টিআইবির এ সব বিবৃতি ছিল ভিত্তিহীন ও মনগড়া।
করোনা মহামারির সময়ও টিআইবি একের পর এক বিবৃতি দিয়েছে, যার অনেকগুলোই পরে ভ্রান্ত প্রমাণ হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দুর্নীতির নানা কল্পিত চিত্রের পাশাপাশি টিআইবি বলেছিল, দেশের প্রায় দেড় লাখ মানুষ নাকি করোনায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। অথচ এ সময় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারেরও কম।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে টিআইবি আমাদের মহান জাতীয় সংসদকে সংসদকে ‘পুতুল নাচের নাট্যশালা’ বলেছিল। আর তারা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যার বিরূদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয় না, অথচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেউ কিল-ঘুষি খেলে বিবৃতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এগুলো রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ।
একই সঙ্গে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে গণতন্ত্রকে সংহত করতে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন ও সুশাসনের জন্য টিআইবির মতো প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তাদের প্রতিবেদন-বিবৃতি যেন একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না হয়, সেটিই প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
জেএইচ