ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ট্রাকের প্রার্থীকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে: নৌকার প্রার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪
ট্রাকের প্রার্থীকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে: নৌকার প্রার্থী

বরিশাল: বরিশাল-৫ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন এবং তারপরে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছিলেন। আর নির্বাচনের কার্যক্রমটা সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল।

চলতি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত সবকিছুই সুষ্ঠুভাবেই চলছিল। ২ তারিখে যখন দেখা গেল একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী (সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ) পরিপূর্ণভাবে বাদ হয়ে গিয়েছে, তখনই সমস্যার শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাকের ওপর ভর করেছেন। আর তারপরে তারা মারমুখী হয়েছেন। অথচ ট্রাকের প্রার্থী প্রথমদিকে শালীনতা বজায় রেখে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। তাকে (ট্রাকের প্রার্থী) প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে বিভিন্নভাবে, আর তাকেই সামনে রেখে মারমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।

শনিবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।

জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, গতকাল (শুক্রবার রাতে) যে ঘটনা ঘটেছে, নৌকার কর্মীরা সাধারণভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে চরবাড়িয়া ক্রস করছিলেন। শেষের দিকে দুই ব্যক্তি দল থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের আটক রেখে মারধর করে মোটরসাইকেল ভেঙে দিয়েছে। পরে পুলিশ ও র‌্যাব তাদের উদ্ধার করেছে। আমার কথা হলো, আমাদের লোকই যদি হামলা করতে যেত তাহলে প্রথম দিকে যারা ছিল, তাদের তো আহত করার কথা ছিল। তারা তো আহত হয়নি।

তিনি বলেন, তারা একটি নাটক সৃষ্টি করেছে। স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সিসি ক্যামেরা ছিল, সেই ক্যামেরা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এত সুক্ষ্মবুদ্ধি কিন্তু ট্রাকের প্রার্থীর নেই।

জাহিদ ফারুকের দাবি, এই বুদ্ধি তাকে (ট্রাকের প্রার্থীকে) দিচ্ছে যারা নতুন করে তার সাথে যোগ দিয়েছে। যারা বরিশাল নগরীতে সন্ত্রাস করেছে, চাঁদাবাজি করেছে। তারা এবং তার সঙ্গের সাঙ্গপাঙ্গরা। তাদের সুক্ষ্মবুদ্ধির কারণে এই কর্মকাণ্ড ঘটেছে।

নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদ ফারুক আরও বলেন, গত ৫ বছরে যেখানে আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি, সেখানে এখন আপনারা কীভাবে আশা করেন, এখন নির্বাচনের সময় আমি এমন সব কর্মকাণ্ড করব, যা আমার এত বছরের অর্জন ও সুনাম ক্ষুন্ন করবে। গত ২৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় খোলামেলা আমারা প্রশংসা করেছেন।

অভিযোগ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমার ক্যাম্পে যে আগুন লাগলো। আমার লোকজন তো করেনি। এ আগুন তারা লাগাচ্ছে বিএপিকে দোষারোপ করছে। এ আগুন তো বিএনপি দেয়নি। এ কাজ করেছে কিন্তু ট্রাকের ওপর ভর করেছে, ট্রাকের উপদেষ্টামণ্ডলী যারা আছে তারা করেছে। তারা এটা বিএনপির নামে করছে। তারা বরিশালের মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য করছে। এটা বরিশালবাসীকে বুঝতে হবে। আমরা বরিশালবাসীকে শান্তিতে রাখতে চাই। নির্বাচনে জয়ী হলে এই বরিশাল হবে গর্বিত একটি শহর।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফজালুল করিম, সাবেক দপ্তর সম্পাদক লস্কর নুরুল হক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বলরাম পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ সম্পর্কে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠজন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা কোনো পক্ষের জন্য ভোট চাইনি। আমরা কেন্দ্রের নিদের্শনা অনুযায়ী সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছি। সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, সকলের প্রতি সেই আহ্বান জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। পরে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করে। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। সম্প্রতি তার অনুসারীরা নৌকায় সমর্থন দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৪
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।