ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির কর্মীদের লজ্জার কিছুই নেই, গৌরব করার অনেক কিছু আছে: নজরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
বিএনপির কর্মীদের লজ্জার কিছুই নেই, গৌরব করার অনেক কিছু আছে: নজরুল ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বিএনপির নেতা-কর্মীদের লজ্জার কিছুই নেই, গৌরব করার মত অনেক কিছু আছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, যারা নিজেদের গণতন্ত্রের দল বলে দাবি করে তারা গণতন্ত্রকে জবাই করে এক বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল।

আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ‘শহীদ’ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই কবরের ওপর দাঁড়িয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থার বাগান রচনা করেছিলেন। পুনরায় স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে যেভাবে জবাই করেছিল সেখানে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। আজকে আবার সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এ কারণে মানুষ ভোট দিতে পারে না। সেই গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে জোর করে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসীন যারা, তারা আর যাই হোক গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না। আরেক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আজকে যারা আন্দোলন করছে, সেই দলের নেতা-কর্মীদের লজ্জার কিছু, নেই উল্টো গৌরবের অনেক কিছু আছে।  

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের প্রচ্ছদপটে চির উদ্ভাসিত একটি নাম, রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি নজরুল এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বিএনপি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা আজকে জেল খাটছেন। মিথ্যা মামলায় তারা বছরের পর বছর বাড়ি যেতে পারেন না। বাবা মারা যান, তার জানাজায় যেতে পারেন না। মা অসুস্থ, তাকে দেখতে যেতে পারেন না। দেশের এমন অবস্থা হয়েছে, যদিও যাওয়ার অনুমতিও দেয়, তাহলে এসব নেতাকর্মীকে ডাণ্ডাবেড়ি পরে বাবার জানাজায় যেতে হয়। এমন অসভ্য দেশের জন্য আমরা কিন্তু যুদ্ধ করিনি। ’

‘বাংলাদেশের মত স্বৈরশাসক পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই’ দাবি করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পাপের কলা পূণ্য হয়ে গেছে, এ সরকারের পতন অবশ্যই হবে। আমরা একটি বাকশালের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছি, আমরা যদি আন্দোলনের মাঠে না থাকতাম তবে আন্দোলন চলত না। এই আন্দোলনের ময়দান দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ের ময়দান। এই ময়দানে জয় অসম্ভাবী। ’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মঈন খান।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ