ঢাকা: রাজনীতি না করার ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, সব বিভাজন ভুলে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টি (জাপা) এক হোক। তিনি দলের ভাঙন চাননি, কখনও চাইবেনও না।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি কেন রাজনীতি করবেন না সে ব্যাপারে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টি নিয়ে প্রত্যাশার কথাও জানান রাঙ্গা।
জাপার সাবেক মহাসচিব বলেন, এই দলটি আমার ভালোবাসার, আবেগের জায়গা। এই দলের আমি মহাসচিব ছিলাম। শুধু তাই নয় আমি রওশন এরশাদ এবং জি এম কাদের দুইজনেরই মহাসচিব ছিলাম। সুতরাং আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, এই নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না এবং দরকারও নেই। তবে সব সময় আমি চাই জাতীয় পার্টির সবাই মিলেমিশে থাকুক। দলের ভাঙন আমি কখনো চাইনি এবং চাইবো না।
হঠাৎ করে রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা কেন দিলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে রাঙ্গা বলেন, রাজনীতিতে অনেক সময় দিয়েছি। নিজেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে। রাজনীতির কারণে পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। সব কিছুরই একটা সময় থাকে; রাজনীতির একটা সময় থাকে। এখন আমার উচিত পরিবারকে সময় দেওয়া। এজন্যই রাজনীতি থেকে সরে আসছি। শুধু তাই নয় রাজনীতির কারণে আমি আর্থিকভাবেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। নিজের ছেলেমেয়েকে প্রোভাইড করতে পারিনি।
পরবর্তী প্রজন্মকে রাজনীতিতে সুযোগ করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমাদের বয়স হয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মকে আমাদের সুযোগ করে দিতে হবে। এখন যারা ৩৫ থেকে ৪০ বছরের যুবক, তাদেরকে রাজনীতির জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নেবে।
আবার কখনও রাজনীতিতে ফিরবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য দলের রাজনীতিতে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। তবে রাজনীতি থেকে অবসর নিলেও দেশেও মানুষ এবং দল যদি কখনও তাকে মনে করেন সেক্ষেত্রে বিষয়টা বিবেচনাও করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ গঙ্গাচড়া আসন থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। সেখানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর কাছে তিনি পরাজিত হন। এর পরে থেকে রাঙ্গাকে আর রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি। নিজেকে এক প্রকার গুটিয়ে রেখেছিলেন।
রোববার জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করার অনুষ্ঠানে মসিউর রহমান রাঙ্গা ছিলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এসএমএকে/এমজে