ঢাকা: ক্ষমতাসীন সরকারকে গদি থেকে সরাতে ‘নতুন মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া মুক্তির বিকল্প নেই’ বলে মনে করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোট।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবি আদায়ে কলো পতাকা মিছিল শুরু করে ১২ দল।
পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা বলেন, তথাকথিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ভুয়া সাংসদদের নিয়ে আজ অবৈধ সংসদ অধিবেশন বসছে। এই নীতিবর্জিত প্রহসনের সংসদকে দেশবাসীসহ সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, এই সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হোক।
তারা বলেন, প্রহসনের মাধ্যমে এই জালিয়াতির নির্বাচন গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেশকে বাকশালী ধারায় ফিরিয়ে এনেছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশের জনগণ লড়াই চালিয়ে যাবে।
ইতিহাসের ভয়াবহতম বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ! মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের দ্বারা গণতন্ত্র বিলুপ্ত, মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী বন্ধুরাষ্ট্র কর্তৃক স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে এবং তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার পরিবার ও আওয়ামী সিন্ডিকেট লুটেরারা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে রক্তশূন্য ফ্যাকাসে রোগী বানিয়ে ফেলেছে। ব্যাংকগুলো ফোকলা করে ফেলেছে। বিদেশি ঋণের পাহাড়ের নিচে দেশকে দেউলিয়া বানানোর নব্বই ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়ে গেছে।
তারা আরও বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগের দেশ বিরোধী, রাষ্ট্র বিধ্বংসী নিষ্ঠুরতম কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদের সব পথ ও উপায় বন্ধ করে দিয়ে দেশে ভারতীয় তাঁবেদার একদলীয় শাসনের বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে স্বাভাবিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল পথ ও উপায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন জাতির সামনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেওয়া ছাড়া মুক্তির কোনো বিকল্প পথ নেই।
বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার বাকশালী শাসন ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবে। স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন চলবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন ভূঁইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিমসহ ১২ দলীয় ও জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
টিএ/এমজে