ঢাকা: বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপি জড়িত কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার হটাতে যখন ব্যর্থ, আন্দোলনেও পারেনি, নির্বাচনেও তারা গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির বাইরে গিয়ে বিরোধিতা করেছে। সবকিছুতেই তাদের ব্যর্থতা। তাদের সমস্ত প্রয়াস যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত তখন তারা অন্যান্য অনেক কিছুতে জড়িয়ে সরকারকে বিব্রত করা, বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তারা অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট কারা করে? এই সরকার জনগণের প্রতিনিধি। শেখ হাসিনা সরকারের সব কর্মকাণ্ডই জনগণের স্বার্থকে সমন্বিত রেখে। এখন রমজান মাসে সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের এখন খতিয়ে দেখতে হবে, এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না। তারাই এসব সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করা এবং নির্বাচিত সরকারের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তারা চেষ্টা করতে পারে। এটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এই সিন্ডিকেটের সাথে বিরোধীদল বিএনপির সংযোগ আছে কি না।
সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ সরকারের দায়িত্ব, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে তারা (বিএনপি) আসেনি, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন যখন হয়ে যাচ্ছে তখন তারা বলেছিল, নির্বাচনের পর বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে। কোথায় দুর্ভিক্ষ, আমাদের ক্রয় ক্ষমতা আছে। এখনই দেখেন আলোকসজ্জা শুরু হয়ে গেছে, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত। ঈদ শপিং শুরু হয়ে গেছে, হাতে তো পয়সা আছে। একটা লোক না খেয়ে মারা গেছে? কারা কোথায় কোথায় সমস্যা সৃষ্টি করছে, তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। এদের সঙ্গে রাজনৈতিক যে সম্পর্ক, বিএনপি বিরোধী দল তারাও উস্কানি দিচ্ছে কি না, যোগসূত্র আসছে কি না, এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চলমান বৈশ্বিক যে পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সংকট, সারা বিশ্বে আজকে যে অস্থিরতা চলছে, তার প্রভাব প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও পড়বে। কথা হচ্ছে সরকার বিষয়টিকে কীভাবে মোকাবিলা করছে। শেখ হাসিনা ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও তিনি বিভিন্নভাবে প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন।
কোন দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিঙ্গাপুরে রুটিন হেলথ চেকআপে গিয়েও দেখেছি সেখানে জিনিসপত্রের দাম ৩ মাস আগে যা ছিল, তা থেকে দ্বিগুণ, তিনগুণ বেড়েছে। আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা হচ্ছে। এখানে সরকার নিষ্ক্রিয় নেই। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ সংকট মোকাবিলায় সময় দিচ্ছেন। আমাদের এখানে কোনো অবহেলা নেই। সরকার সব পদক্ষেপ যথাযথভাবে চেষ্টা করছে। গ্যাস, জ্বালানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মুখোমুখি সারা দুনিয়াই। আমেরিকা, ইউরোপ, উন্নত-অনুন্নত বিশ্বেও এই সংকট চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
এসকে/এমজেএফ