ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে’ ভুগবেন না, হিন্দুদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
‘ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে’ ভুগবেন না, হিন্দুদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা মন-মানসিকতায় যদি ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে (হীনমন্যতা) ভোগেন, মাইনোরিটি ভাবনাটাই একটা দাসত্বের শিকল, এই দাসত্বের শিকল ভেঙে ফেলতে হবে। মুসলমানের ভোটের চেয়ে আপনার ভোটের কি মূল্য কম? কোনো পার্থক্য কি আছে? তাহলে কেন নিজেকে মাইনোরিটি ভাববেন?

তিনি বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের পাশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার অবদান আছে।

কারও অবদান কম নয়।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, যারা সনাতন ধর্মালম্বীদের সম্পদ, ধর্মীয় মন্দির এই সব স্পর্শকাতর বিষয়ে তাদের মনে কষ্ট দেন, মন ভেঙে ফেলেন, এই সব লোক রাজনৈতিক পরিচয়ে যদিও থাকেও তাদের আসল পরিচয় দুর্বৃত্ত। এরাই হিন্দুদের বাড়ি দখল করে, মন্দির ভাঙচুর করে। এরা আমাদের সকলের অভিন্ন শত্রু। এদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই বাংলাদেশে ’৭৫ থেকে একুশ বছর কারা শাসন করেছিল? এই একুশ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে যে বৈরিতা সৃষ্টি করেছিল, সে কারণেই আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবে আলোচনা করে সমাধান করা যায়নি। সম্পর্ক যদি ভালো থাকে তাহলে আলোচনার টেবিলে যেকোন জটিল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারি, সমাধান করতে পারি। যেমন সীমান্ত সমস্যা বাস্তবায়ন, সিটমহল বাস্তবায়ন।

তিনি বলেন, সম্পর্ক ভালো বলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করে ৬৮ বছরের সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়েছে। আমি এই কৃতিত্ব দেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদিকে। দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস সন্দেহের দেয়াল তারা ভেঙে দিয়েছেন। অবিশ্বাস, সন্দেহের দেয়াল রেখে কোনো কিছু সমাধান সম্ভব নয়। আজকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে, গঙ্গা চুক্তিও আমরা করেছি। তিস্তা নদী নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, এর সমামাধান অবশ্যই হবে। গায়ে পরে তিক্ততা সৃষ্টি করে সমাধান সম্ভব নয়।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।