ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রিজভীর মন্তব্য

‘দীর্ঘদিনের অপমান-লাঞ্ছনায় ভারতীয় পণ্য বর্জনে সমর্থন দিয়েছে জনগণ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
‘দীর্ঘদিনের অপমান-লাঞ্ছনায় ভারতীয় পণ্য বর্জনে সমর্থন দিয়েছে জনগণ’

ঢাকা: দীর্ঘদিনের অপমান-লাঞ্ছনায় ভারতীয় পণ্য বর্জনে জনগণ সমর্থন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আজকের রাজনীতিতে সবচেয়ে সমাদৃত শব্দ ভারতীয় পণ্য বর্জন। এই পণ্য বর্জন একদিনে সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘদিনের অপমান, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের সমর্থন দিয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ বর্জনের আহ্বান জানালেও আজ তা সর্ব মহলে সমাদৃত।

তিনি বলেন, আজকে ভারত বন্ধুত্বের কথা বলে। অথচ, পানির ন্যায্য হিস্যা দেয় না। বন্ধুত্বের কথা বলে প্রতিনিয়ত সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা করা হচ্ছে। এসব অন্যায় ও অবিচারের কারণে বাংলাদেশীদের প্রতিবাদী করে তুলেছে। বাংলাদেশের বাজার বাণিজ্যে তারা একতরফা আধিপত্য বজায় রেখেছে দীর্ঘদিন। তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র মনে করলে ভারসাম্যমূলক বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে তুলতো। ভারত কখনই ব্যবসায়িক নীতি মানেনি।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সাথে বন্ধুত্ব না করে ভারত একটি রাজনৈতিক দলের সাথে বন্ধুত্ব করেছে। দেশ কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ। দেশবাসীই ভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে কে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আর এই অবৈধ সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ভারতের নীতিনির্ধারকরা। এ কারণেই বাংলাদেশের জনগণের ভারতের বিরুদ্ধে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে।

৭২ সালে ভারত যখন ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে তখন থেকেই মওলানা ভাসানী এর প্রতিবাদ করেন। সকল বাম রাজনৈতিক দলগুলোও এর বিরুদ্ধে ছিল সোচ্চার। তৎকালীন জাসদও সে সময় ভারতের এই নীতির জন্য প্রকাশ্যে রাজপথে ছিল। বড়ভাই সুলভ আচরণের জন্য ভারতকে আদিপত্যবাদী শক্তি বলেও রাজনৈতিক দলগুলো আখ্যা দিয়েছিল, মন্তব্য করেন বিএনপির এ মুখপাত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
টিএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।