ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসনিা জনপদের পর জনপদে শিমুলদের মতো এমপি বানিয়েছেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে বিএনপি নেতাদের রক্তাক্ত করতে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করেছে, তার ওপর গুলি চালিয়েছে। সে জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিল। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে সে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার ওপর ক্ষুদ্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
গত ১৩ মার্চ নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান ওরফে শাহীনকে (৪২) মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফেলে দেওয়ার পর পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা এমপি শিমুলের অনুসারী। ফরহাদ আলী দেওয়ান একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে দায়রা জজ আদালতে আসেন। হাজিরা দেওয়ার পর তিনি মোটরসাইকেলে আদালত থেকে সিংড়ার দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
তিনি সড়কের পাশে পড়ে গেলে ওই মাইক্রোবাস থেকে সন্ত্রাসীরা নেমে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাঁ হাত ভেঙে দেয়। পরে তার পায়ে তিনটি গুলি করে। খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
টিএ/জেএইচ