ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ভিজিএফের চাল বিতরণ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ভিজিএফের চাল বিতরণ!

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় থেকে সরকারি ভিজিএফের চাল বিতরণ করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা ও একই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেলের বিরুদ্ধে।  

তিনি সদর উপজেলা (পশ্চিম) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

এছাড়া তিনি আসন্ন দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।  

আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।  

ইউপি কার্যালয় সূত্র জানায়, বিনামূল্যে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে গরিব মানুষের মধ্যে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। যা দালাল বাজার ইউনিয়নের দুই হাজার ১০০ দুস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দালাল বাজার ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় থেকে উপকারভোগীদের মধ্যে এ চাল বিতরণ করা হয়।  

দলীয় কার্যালয় থেকে সরকারি চাল বিতরণকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।  

তারা বলছেন, ইউপি কার্যালয় বা কাছের একটি বিদ্যালয়ে রেখে চালগুলো বিতরণ করা যেত। কিন্তু কামরুজ্জামান সোহেল আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তার দলীয় কার্যালয়ে রেখে চাল বিতরণ করেছেন। এ নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রার্থীরা।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর নবী চৌধুরী বলেন, আমিসহ ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের সহানুভূতি পেতে কামরুজ্জামান সোহেল তার দলীয় কার্যালয়ে রেখে সরকারি চাল বিতরণ করছেন, যেখানে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ঝুলানো রয়েছে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে পরিকল্পিতাবে দলীয় কার্যালয়ে চাল বিতরণ করেন তিনি।  

ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, আমাদের নিজস্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় নেই। ভাড়া জায়গায় কার্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে হয়। সেখানে মাত্র দুটি কক্ষ রয়েছে। জায়গা না থাকায় বিএনপির কার্যালয়ে এনে চালগুলো বিতরণ করা হয়। বিতরণ শুরুর পরপরই আমি চলে এসেছি।  

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। এটি কোনো প্রার্থীর কাছেই কাম্য নয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।