ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হাস্যকর সব মামলা দিয়ে আমাকে হেনস্তা করছে তারা: মির্জা ফখরুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
হাস্যকর সব মামলা দিয়ে আমাকে হেনস্তা করছে তারা: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী দল করলেই বা বিরোধী মতের হলেই আজ দেশের সাধারণ মানুষকেও এ সরকার আসামি বানিয়ে দেয়। আমার নামে ১১১টি মামলা রয়েছে আর আমাকে জেলে যেতে হয়েছে প্রায় ১১ বার।

এ বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে এমন হাস্যকর মামলাগুলো দিয়ে হেনস্তা করছে তারা। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতিগুলোর বিষয়ে আমরা কথা বলি। তাই এমন হাস্যকর মামলা খেতে হচ্ছে আমাদের।  

রোববার (১৪ এপ্রিল)  ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহিয়া থানা বিএনপি এ স্মরণসভার আয়োজন করে।  

এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশে আজ কোনো স্বাধীনতা নেই। দেশের মানুষ আজ দেশের ভেতরেই পরাধীন জীবনযাপন করছে। এ ফ্যাসিস্ট সরকার সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সব অধিকার হরণ করেছে।  ’৭৫- এ আওয়ামী সরকার বাকশাল কায়েম করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি করে আবারও তারা দেশে বাকশাল কায়েম করছে।  

তিনি বলেন, এ সরকার আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে যার প্রমাণ মেলে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ছাড়া কোনো কাজই করতে পারে না। তারা এমন দেউলিয়া হয়ে গেছে যে, আজ পুলিশ দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হচ্ছে। তাদের দেউলিয়াত্ব এতটাই বেড়েছে যে, তা ঢাকতে তারা এমন তামাশার নির্বাচন করেছে। ১৪ সালে সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও তারা জয়ী হয়, আবার ১৮ এর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলে, এবার ডামি প্রার্থী দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে। আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নেই, তারা আজ পুরো দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোকে এ সরকার শেষ করে দিয়েছে। নানা সরকারি-বেসরকারি নিয়োগের টাকা খেয়ে আর ব্যাংকের  টাকা চুরি করেই এ সরকারের লোকেরা টিকে থাকছে। আমরা এমন দেশ চাইনি। এমন দেশ গড়ার জন্যও আমরা যুদ্ধ করিনি।  

খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। তার অতিসত্বর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা খুব জরুরি। নাহলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। অথচ তার চিকিৎসা নিয়েও সরকার নানা টালবাহানা করছে।  

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩২ বছর একসঙ্গে পথ চলেছি। আমি রাজনীতি করতে গিয়ে দূরে চলে গেলাম আর ঠাকুরগাঁওকে রেখে গেলাম তৈমুর সাহেবের কাছে। তিনি বেঁচে থাকতে বলতেন ,‘এমন দেশ আমরা চাইনি আর এমন দেশ গড়ার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমরা তাজা রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করেছি দেশ আর দেশের মানুষকে স্বাধীন দেখতে। তা আর দেখতে পারছি না। ’ 

রুহিয়া থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম সহ দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।