ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

জুনের মধ্যে ঋণখেলাপিদের তালিকা দিতে হবে: সাকি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
জুনের মধ্যে ঋণখেলাপিদের তালিকা দিতে হবে: সাকি

ঢাকা: আগামী জুন মাসের মধ্যে ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন,  চলতি অর্থবছের মধ্যে ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ না করা হলে বিপুল জনগণের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহির দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহি, ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচার রুখে দাঁড়ানো, ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখী গণসংহতি আন্দোলনের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনের সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। এজন্য বাইরে থেকে এর নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর থেকে লুটপাট ও অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। জনগণের টাকার নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রাজনৈতিক নির্দেশনায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ১৫ বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অবলোপন ও মাফ করা ঋণের হিসাব করলে খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো সাধারণ মানুষ ঋণখেলাপি নয়, কথিত ফকির-দরবেশরা এই টাকা লুটপাট করেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের যাদের দায়িত্ব ছিল এই টাকা রক্ষা করার, তারা দায়িত্ব পালন না করে এই লুটপাটে সহায়তা করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে আগের অর্থবছরে রপ্তানিকারকরা ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে আনেননি। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে আনেননি ৯ বিলিয়ন  ডলার; এই অর্থ দেশের শ্রমজীবী মানুষের উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে আমদানি রপ্তানির আড়ালে টাকা পাচারকারীর তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, অবলোপন ও মাফ করা ঋণসহ দেশে খেলাপি ঋণের পরিমান দাঁড়াবে চার লাখ কোটি টাকা। ব্যাংক লুটপাট করার কারণে এটা হয়েছে। এই লুটপাটে সুবিধা করার জন্য ব্যাংকে এক পরিবারের চারজন পরিচালক হওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে পাচার ও লুটপাট করতে সুবিধা করা যায়।

তিনি বলেন, খারাপ ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাকগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খারাপ ব্যাংকের পরিচালকের বিচার না করে ভালো ব্যাংকগুলোকে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়, তরিকুল সুজন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।