ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারকে প্রতারক বললেন আলাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
সরকারকে প্রতারক বললেন আলাল

ঢাকা: সরকারকে প্রতারক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তিনি বলেন, অনেকেই বলে এটা চালাক সরকার।

কিন্তু এরা চালাক না, এরা হচ্ছে প্রতারক।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ‘ভারতের সাথে দেশ বিরোধী গোলামী চুক্তির প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সীমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। কিন্তু এই সরকার প্রতিবাদ করছে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ডেস্ক অফিসারও একটা স্টেটমেন্ট দিতে সাহস পায় না। বরং সরকার মমতার দোহাই দিয়ে চুক্তিগুলো পিছিয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিমান গেলে এর ট্যাক্স পায় ভারত ও মিয়ানমার। কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত আকাশে যেসব বিমান উড়ে যায় সব ট্যাক্স নেয় মিয়ানমার আর সুন্দরবনের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর যেসব বিমান ওড়ে সেসবের ট্যাক্স নেয় ভারত। তাহলে আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব মানেটা কি হলো? এই সরকার নাকি চারবার ক্ষমতায়, তাহলে এইসবের সমাধান করলো না কেন? প্রশ্ন করেন আলাল।

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, অনেকেই বলে এটা চালাক সরকার। কিন্তু এরা চালাক না এরা হচ্ছে প্রতারক। এই যুবকরা যখন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করেছিল তখন সরকার তা মেনে নিয়ে সংসদে বিল পাস করেছিল। একই সাথে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পাস করেছিল। এই সরকার কত বড় প্রতারক এটা দেখলেই বোঝা যায়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে একের পর এক আঘাত দিয়ে বোবা বানিয়ে, বিকলাঙ্গ করে এ সরকার তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়ত করছে। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য যা করার আমরা করছি। বড় দল হিসেবে বিএনপির যদি কোনো কাজ বাদ থাকে তাহলে আমাদের সাথী সঙ্গীদেরকে বলবো বিএনপি নীতি-নির্ধারকদের সাথে কথা বলুন। তাদেরকে বলুন একসাথে দাঁড়িয়ে বলতে হবে- তোমাকে (আওয়ামী লীগ সরকার) আর চাই না। যদি না যায় কীভাবে যাবে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।