ঢাকা: দেশে সরকার কর্তৃক নিরীহ ছাত্র আন্দোলনকে দমনের নামে এবং আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নামে চলমান দমন-পীড়ন, হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার ও কারফিউয়ের মধ্য দিয়ে জনগণের মানবাধিকার হরণ ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন ব্যাহত করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
বুধবার (৩১ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আন্দোলনকারী সকল ছাত্রজনতার নিঃশর্ত মুক্তি এবং হামলা-মামলা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশে সরকার এরকম জবাবদিহিহীন নিয়ন্ত্রণ, দেশব্যাপী আইন-শৃংঙ্খলা প্রতিষ্ঠার নামে যা-খুশি আরোপ করতে পারে না।
তারা বলেন, সরকার একটা নিরীহ ছাত্র আন্দোলনকে নিজেদের জেদ, নিজেদের অসহিষ্ণুতা, নিজেদের ভেতরকার যে স্বৈরাচারী চরিত্র এসমস্ত কিছুর একটা উদগ্র প্রদর্শন গত কয়েক দিনের হামলা-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ ঘটিয়েছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ’৭১ সালের পরে এই এত বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সমস্ত রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে আমাদের শিশু সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। সরকারের শত শত লাশের ওপর দাঁড়িয়ে সেটাকে ঢাকার জন্য নানা কৌশল করে যাচ্ছে। স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত না করেই বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের নির্মমতা ঢাকতে চাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশব্যাপী গ্রেপ্তারের ন্যায় আজকেও বরিশালে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সেখান থেকে পুলিশ ছাত্রনেতা তাহমিমকে গ্রেপ্তার করে, পরে আন্দোলনকারীদের চাপে ছেড়ে দেয়। ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশস্থল ঘিরে রাখে পুলিশ, মাইক পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিজয়নগর মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশেও পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং দেশের আইনকে নিজেদের ইচ্ছেমতো নিপীড়ন ও দমনমূলক কাজে যে অব্যাহত ব্যবহার তা রাষ্ট্রের উদ্ভট অবস্থারই সাক্ষ্য বহন করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে আন্দোলনকারী সকল ছাত্রজনতাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। সাঁড়াশি অভিযান বন্ধ ও গ্রেপ্তার বন্ধ করে তাদের সকল দাবি মেনে নিন। অতিসত্বর হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করে দেশকে গণতান্ত্রিক পথে নিয়ে যাওয়ার জনগণের দেওয়া সুযোগ গ্রহণ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
এমজেএফ