কিশোরগঞ্জ: এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের কীর্তিমান দুই রাজনীতিবিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান। পরে রাজনৈতিক বিরোধে আওয়ামী লীগ ছাড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান।
গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যায়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মিঠামইন উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। কিন্তু অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নির্দেশে এ হামলা ও ভাঙচুর করা থেকে তারা ক্ষান্ত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-৪ এর তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে পৃথক সমাবেশ করেন অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান।
এক সমাবেশে অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ১৫ বছর পর দেশের মানুষ মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। আমাদের সোনার ছেলেরা নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা অনেক কঠিন। আমাদের সবাইকে এ লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবদুল হামিদের চক্রান্তের কারণে আমার জীবনের ২৮টি বছর হারিয়ে গেছে। আমাকে আমেরিকায় নির্বাসনে পাঠিয়েছে। আমি আমার সন্তানদের মুখ দেখতে পারিনি। আমার স্ত্রীর মুখ দেখতে পারিনি। আমার এলাকাবাসীর মুখ দেখতে পারিনি। তার দ্বারা আমি যে জেল, জুলুম-অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এখন আমি নির্দেশ দিলে, আবদুল হামিদের বাড়ির একটা ইটও থাকবে না। কিন্তু আমি তা করব না। আমি আবদুল হামিদকে ক্ষমা করে দিলাম।
তিনি ছাত্র-জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সব ধরনের নাশকতা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, সমাবেশগুলোতে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বিএনপি নেতা তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যদের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
এসআই