রাজবাড়ী: সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী ও তার ভাই ইরাদতসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন রাজিব মোল্লা নামে এক ব্যক্তি।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী রাকিবুল হোসেন শান্তনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহীন শেখ, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, মো. হান্নান মণ্ডল সজল, কাজী হেফাজত আলী টিটু, গোলাম মালেক রিংকু, সুমন, অরূপ দত্ত হলি, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আজম মণ্ডল, হান্নান, মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু, মানিক সরদার, কাজী ফরিদ, মাহাবুব হোসেন লিটন, মো. মিঠু, জামাল খান, ইফতি হক সৌরভ, চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান শাহীনুর, মো. আরিফুল ইসলাম আলিম, কাজী আসাদুজ্জামান লাল, রিয়াদ রায়হান ইফতি, আমিরুল ইসলাম, শফিক খান বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মো. সাহেব আলী, সম্পা নিয়োগী, রিমন, ফাহিম, আরজু, ইমরান, অনিক, কৌশিক, শেখ মো. আবির, বানিবহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাব্বি, মৃদুল, বড় সাব্বির, আলাউদ্দিন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলাল, কাঞ্চন, বাবু ওরফে জুতা বাবু, ফরিদ, হৃদয়, পিংকন, আব্দুল রাজ্জাক রাজু, জোসেফ রিপন, সাগর, আব্দুল মতিন ঢালি আরজান, শরিফ, আরিফ, কলি, কাঞ্চে কুমার দাস, শেখ মোশারফ, সাইফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন শেখ, মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টুকু মিজি, সালাম মেম্বার, শিহাব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ, প্লাবন, তমাল, শাকিল, আশিক, রাজবাড়ী সদর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদুল ইসলাম রাজু, মো. আজিম, মো. সোহাগ, টাইসন, মো. আব্দুল্লাহ, তানজিম, মো. শফিকুল হোসেন, বনি আমিন, গলা কাটা বাপ্পি, পলাশ, কালা পারভেজ, মাহাবুর মিলন, অসিম পাল, রুবেল, সোহাগ, হাশেম খান, গফুর খান, নয়ন খান, ফরিদ, জয় মিজি, রিপন, ফিরোজ বিশ্বাস, তুষার, সাগর, রানা, আশরাফুল হাসান আশা, সজিব মোল্যা, মিঠু, জসিম, হৃদয় মণ্ডল, লাভলু, কেসমত শেখ, ফায়জুল রহমান নিলয়, সিদ্দিক হেলাল আহম্মেদ, ফয়সাল, প্রিতম, সাইফুউদ্দিন আহম্মেদ সুজন, মিঠু, খোকন, অপু, আব্দুল লতিফ, শিমুল, মান্নান মোল্যা, রাহাত, বাপ্পি, শাহিন, পুড়া পলাশ, শামীম, শাহীন, শামসুল হক জজ, আরসাদ হোসেন আরজু ওরফে আছো, গোয়ালন্দ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য রাশেদুল হক অমি, শফিকুল ইসলাম, আশিষ, আনোয়ার হোসেন, আক্কাস সন্ত্রাসী, জুয়েল, মকবুল, বাবর, সবুজ, রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান, সাধারণ সম্পাদক ও মুলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান, আলম ওরফে লম্বা আলম, সাফায়াত হোসেন, সবুজ, ফারুক ঠিকাদার, সাকিব, জয়, নিপু বিশ্বাস, আলমগীর, সাগর, জাহাঙ্গীর, ফরহাদ বিশ্বাস, রেজাউল করিম, মিলন, শরীফ মো. জিল্লুর রহমান, গাইট্রা রাজু, মো. ইদ্রিস, শিপলু, রাফাত, হাবীব শেখ, নাজমুল ফকির, মাহবুব হোসেন লিটন, ইফতি, আবির, মো. সাঈদ, রানু, আজিম খান, আবদুর রব, মো. নজরুল ইসলাম মনি, রাশেদুল ইসলাম রাশি, রাজীব, সিদ্দিক শেখ ওরফে কালা সিদ্দিক, মো. আলাউদ্দিন সেখ, মো. আবদুল হালিম মেম্বার, দাদশী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ, উজ্জ্বল, শেখ রেজা ওরফে সাধন, ইমরান সরদার প্রমুখ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী রাজিব মোল্লা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। রাজবাড়ীতেও কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক উল্লিখিত এজাহারভুক্ত আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে হঠাৎ করে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান। সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর নির্দেশে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। এছাড়া আন্দোলনকারীদের বেধরক মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়। আসামিরা আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেননি। আসামিদের আক্রমণে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুন্নবী, আশিল ইসলাম অভি, রাজিব মোল্লা, মেহেরাব,আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস সরকার, রিয়াজসহ অসংখ্য আন্দোলনকারী আহত হন।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, মামলাটি এসআই আবুল কালাম আজাদকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
এসআই