ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘১২ কোটি মানুষের পরিচয় বিক্রি করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
‘১২ কোটি মানুষের পরিচয় বিক্রি করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ’

কুমিল্লা: এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমার-আপনার ভোটার আইডি কার্ডটা পর্যন্ত বেচে দিয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

আর সব কিছুর জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করেছে। আপনারা দেখেছেন ১২ কোটি মানুষের পরিচয় বিক্রি করে দিয়েছে। ওরা শুধু আমার আপনার পকেটের টাকাটা চুরি করেনি, আমাদের আত্মপরিচয় ও মর্যাদাকে বিক্রি করে দিয়েছে। সেই মর্যাদার লড়াইটা ছিল জুলাই আগস্টের লড়াই। সুতরাং, এই লড়াইয়ের সেন্স এবং স্পিরিট আমাদের মনে রাখতে হবে। ছেলেমেয়েরা বলেছে, এই বাংলাদেশের নতুন রাজনীতি হতে হবে। শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের যুদ্ধ শেষ হয়নি।

রোববার (১৩ অক্টোবর) এবি পার্টি কুমিল্লার উদ্যোগে কুমিল্লার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। কুমিল্লার রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আরও বলেন, সবকিছু যদি আগের মতই চলে তাহলে সেটা সংস্কার না। তাহলে সেটি নতুন বাংলাদেশ না। সবকিছু যদি আগের মতোই চলে ১৬ শ’ শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে। সবকিছু যদি আগের মতোই চলে, তাহলে ৬০০ ছেলে-মেয়ে যে অন্ধ হয়ে গেছে, তা বৃথা যাবে। ২৩ হাজার আহত কষ্ট পাবে।

সভায় সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, আন্দোলনে বেশিরভাগ সাংবাদিক ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন। এ আন্দোলনের মূল ভূমিকায় ছিলেন ছাত্ররা। কিন্তু সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। আমাদের সেনাবাহিনীও বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের দমন-নিপীড়নের অংশ হতে অস্বীকার করেছিল। যিনি দম্ভ করে রক্তের হলিখেলায় নিজেকে উল্লাসিত ছিলেন, তার পতন হয়েছে। যার সহযোগীরা বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালায় না। আরো লাশ পড়লে পড়বে। বাকি ইতিহাস আপনারা দেখেছেন। শেষ পর্যন্ত ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে, শত শত মানুষের পঙ্গুত্বের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে এক কঠিন কাজে আমাদের নামতে হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে সবাই অবদান রেখেছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর আমরা দেখছি ছাত্রদের মধ্যেও কারা বেশি অবদান রেখেছে, কম অবদান রেখেছে তা নিয়ে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এটা শিগগিরই কাটিয়ে আমাদের উচিত বাংলাদেশে যেন এমন ফ্যাসিবাদ আর তৈরি না হতে পারে তার জন্য প্রস্তুত হওয়া।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এএফএম সোলাইমান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল  হেলাল উদ্দীন ও দিদারুল আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।