ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এম ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। দীর্ঘ ৮ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর তিনি দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে পরিবারের সঙ্গে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে তিনি স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন।
জানা গেছে, ড. এম ওসমান ফারুকের এলাকায় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের মামলা দেন। যুদ্ধাপরাধের মামলা হলে বিএনপির হাইকমান্ডের পরামর্শে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হবেন ড. এম ওসমান। আবারও তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবেন তিনি। আগামী সপ্তাহ থেকে তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে তার নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এদিকে দেশে আগমন উপলক্ষে তার নির্বাচনী এলাকাসহ কিশোরগঞ্জের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ঢাকায় তার বাসায় ভিড় করছেন। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় ড. এম ওসমান ফারুক কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়েছেন।
সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী তখন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হয়েছে। আমাদের এই বিজয় সমুন্নত রাখতে সবাইকে ধৈর্য ধরে এলাকায় কাজ করতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
উল্লেখ্য, ড. এম ওসমান ফারুক বিশ্বব্যাংকের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষায় ভূমিকা পালন করতেন। কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৪
টিএ/এএটি