ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হাসিনা ক্ষমতার জন্য পাশের দেশের কাছে সার্বভৌমত্ব জিম্মি করেন: রিজভী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
হাসিনা ক্ষমতার জন্য পাশের দেশের কাছে সার্বভৌমত্ব জিম্মি করেন: রিজভী

ঢাকা: সঙ্গী-সাথী ফেলে দিয়ে শেখ হাসিনা স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব তিনি জিম্মি করে দিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে। এখন জনগণের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছেন সেই চুক্তিগুলো অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশ করুক।

তিনি দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন তার প্রমাণ তো আমরা দেখতে পাই।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে জুলাই গণ-আন্দোলনে চক্ষু হারানো, চক্ষু ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের চক্ষু সেবার উদ্দেশ্যে প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশনায় চক্ষুসেবা ক্যাম্প কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার মতো একজন রক্তপিপাসু, নরক ঘাতক এক নায়কের আর এই দেশে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের কোনো সুযোগ নেই। আপনি শিশুদের রক্ত পান করা একজন রক্তপিপাসু নারী। আপনি যে পাপ করেছেন, যে হত্যা লীলা চালিয়েছেন। এর জন্য হয় আল্লাহর কাছে মাফ চান না হলে শয়তানের মতো চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত হয়ে থাকবেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আদানি বলে ভারতের একটা কোম্পানি তার সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি করেছে। এটা অত্যন্ত অসম চুক্তি, অত্যন্ত অন্যায় চুক্তি এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাংলাদেশে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তার কম। কিন্তু আদানির কাছ থেকে যেটা কিনা হয় সেটা এক ইউনিটের দাম ১২ টাকা। পৃথিবীর কোথাও একো দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হয় না। তিনি আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। তাকে যদি কখনও পালাতে হয় তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সঙ্গে  চুক্তি করেননি । না হলে আদানি কেন হুমকি দেবে?

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তারা নূর হোসেন দিবসে ঢাকা শহর নাকি উথাল-পাতাল করে দেবে। ওইদিন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কয়েকটি মিছিল করেছে। ওদের মতো তো মোড়ে মোড়ে বন্দুক নিয়ে পাহারা দেয়নি। তারপরও তো ওদের কোথাও দেখা যায়নি। কোথায় যুবলীগ? কোথায় ছাত্রলীগ? কারণ শেখ হাসিনা তাদেরকে লুটপাটের জন্য তৈরি করেছিলেন।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, বিএনপিসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
টিএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।