ঢাকা: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রায় দেড়-সহস্রাধিক শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না উল্লেখ করে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লবের আবদুস সালাম হলে ৩৪তম ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, অনৈক্যের জন্যই কিন্তু আমাদের আজকের এই অবস্থা, আমরা এগুতে পারিনি। আজকে আমাদের প্রয়োজন হলো যে দলগুলো আছে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামা। দেরি না করে আমাদের এটা করা দরকার। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, মানুষকে নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
প্রবীণ এ রাজনীতিক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, সবাই আলাদাভাবে আমরা যে বক্তব্যগুলো রাখি এবং লক্ষ্যগুলোকে সামনে রেখে কাজ করি, তাতে দেশের অবস্থার আরও অবনতি ঘটবে। অনৈক্যের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবে। একদিকে না গিয়ে আমরা বিভিন্ন দিকে ছুটবো; এই জিনিসটাকে আমরা উপলব্ধি যত দ্রুত করি ততই ভালো।
তিনি বলেন, ডা. মিলন, নূর হোসেনদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আরেক স্বৈরশাসকের বিদায় হয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে প্রায় দেড়-সহস্রাধিক শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ডা. মিলন-নূর হোসেনসহ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা যে কারণে জীবন দিয়েছেন, তাদের স্বপ্নের-আকাঙ্ক্ষার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সেই আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের এখন অঙ্গীকার করতে হবে যে, এবার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা যেন কোনো অশুভ শক্তির দ্বারা বাধাগ্রস্ত না হয়।
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৪
এমএমআই/এইচএ/