ময়মনসিংহ: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসাকে সহজলভ্য ও সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ওষুধ সরবরাহ করা হবে। ওষুধের মূল্য যুক্তিসংগত হারে কমানো হবে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গোবরাকুড়া ইউনিয়নের ধারা বাজারে ইসলামিক মডেল হাসপাতাল উদ্বোধনকালে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চিকিৎসাসেবাকে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ব্যবসায় পরিণত করেছিল মন্তব্য করে সালেহ প্রিন্স বলেন, আগামী দিনে ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমানের (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) নেতৃত্বে ৩১ দফার আলোকে স্বাস্থ্যকে সম্পদ বিবেচনা করা হবে। চালু করা হবে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য কার্ড।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করলে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করে সবার জন্য জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হবে। পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে স্বাস্থ্যবিমা। গরিব মানুষের জন্য ৫০ ধরনের প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। একটি কার্যকর রেফারেল সিস্টেম গড়ে তোলা হবে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণে উৎসাহ দেওয়া হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধ করে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্বাস্থ্যবান উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠাই বিএনপির লক্ষ্য। রাজধানী শহরে প্রাপ্ত সব চিকিৎসা সুবিধা ক্রমান্বয়ে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা দেশের মফস্বল পর্যায়েও সহজলভ্য করে তোলা হবে। উপজেলা পর্যায়ে সার্জারি সুবিধা সুলভ করার লক্ষ্যে অ্যানেস্থেসিস্ট তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেতন প্রণোদনার মাধ্যমে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পোস্টিং দেওয়া হবে।
সমাবেশে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, হালুয়াঘাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোয়াজ্জেম হোসেন মাস্টার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আরফান আলী, আলী আশরাফ, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম কেরানী, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও আনোয়ার হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন গোবরাকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন খান খোকন, অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নুরে আলম জনি, সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, আব্দুল মোতালেব, আলতাফ হোসেন, মোতালেব হোসেন প্রমুখ
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
এসআরএস