ঢাকা: ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ‘পৃথিবীতে দুইশো কোটি মুসলমান থাকলেও আজ গাজার মুসলিমরা অভিভাবকশূন্য। ফিলিস্তিনের নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম গণহত্যার শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীতে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মৎস্য ভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু'তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুসলমানদের পবিত্রতম ভূমি, মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসাধন্য ফিলিস্তিনকে আমাদের চোখের সামনে মুছে ফেলা হচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে বোমার আঘাতে মানুষের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং এক লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। অথচ মানবাধিকার সংগঠন, মুসলিম কমিউনিটি ও মুসলিম স্বার্থ রক্ষায় গঠিত সংস্থাগুলো নিশ্চুপ থেকে ওই গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে, কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করছি না।
তারা আরও বলেন, অভিশপ্ত ইহুদি জাতির পতন সময়ের ব্যাপার। সারাবিশ্বের মুসলমানরা আজ জেগে উঠেছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ফিলিস্তিনে আর কোনো বোমা পড়লে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রশিবির ঘরে ফিরে যাবে না। সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে আমরা রাজপথে অবস্থান করব, ইনশাআল্লাহ।
সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম চলমান এ আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৫
টিএ/আরআইএস