যশোর: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশের মানুষ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন ধরনের শাসন দেখেছে। বাকি রয়েছে ইসলামের শাসন দেখা।
তিনি বলেছেন, অনেকেই ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। যে যত স্বপ্নই দেখুক না কেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে বাইপাস করে ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন।
মুফতি রেজাউল করীম শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে যশোর ঈদগাহে দলের জেলা শাখা আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন যশোর জেলা সভাপতি মিয়া মুহাম্মদ আব্দুল হালিম।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, বিভিন্ন সময় শাসক গোষ্ঠী আলেমদের বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়েছে, ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে। একমাত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধোঁকায় পড়েনি।
ইসলাম নামক নীতি-আদর্শ যতক্ষণ বাংলার মাটিতে শক্তিশালী না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই জাতির কল্যাণ আসতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা কখনই ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হবো না।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদ, ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন এবং কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা এই দেশে বাস্তবায়িত হতে দেখিনি। বরঞ্চ এদের পরিচালনায় চুরি-দুর্নীতিতে দুনিয়ার মধ্যে দেশ পাঁচবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এদের পরিচালিত রাষ্ট্রব্যবস্থায় ঘরের ভেতরে মানুষ খুন হতে দেখেছি। হাজার হাজার মা সন্তানহারা হয়েছে। অনেক সন্তান এতিম হয়েছে। মেহনতি মানুষের সম্পদ বিদেশে পাচার করে তারা ধনী হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট, বিদেশের তাবেদার, অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নকারী, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা গত বছরের ৫ আগস্ট বিতাড়িত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ন্যায্য দাবি আদায়ে রাস্তায় নামায় তাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একমাত্র রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সেই সময়ে ঘোষণা দিয়ে সংগ্রামে নেমেছিল।
জনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা মো. শোয়াইব হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফারুক আহমাদ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অ্যাডভোকেট নূর ইসলাম নূরুল, অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা, অ্যাডভোকেট বায়েজিদ হুসাইন প্রমুখ।
জনসমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
এসআরএস