ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জুন ২০২৫, ২৩ জিলহজ ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব জামায়াতের, গোপন ব্যালটে ঐকমত্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৬, জুন ১৯, ২০২৫
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব জামায়াতের, গোপন ব্যালটে ঐকমত্য বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবু তাহের, ছবি শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তারা বর্তমান সংসদ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের পরিবর্তে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত প্রায় ৭০ হাজার সদস্যের 'এক্সটেন্ডেড ইলেক্টোরাল কলেজ'-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।

তবে,দলটি জোর দিয়েছে যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সরকারের অধীনে নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিনের প্রথম পর্বের বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবু তাহের সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

আবু তাহের বলেন, আজ সকালে মূলত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কিভাবে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা নীতিগতভাবে একটি এক্সটেন্ডেড ইলেক্টোরাল কলেজ-এর পক্ষে, যেখানে পার্লামেন্টের সদস্য (যদি আপার হাউজ হয় তবে উভয় কক্ষের) এবং জেলা পরিষদ, মিউনিসিপ্যালিটি, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন কাউন্সিলের নির্বাচিত চেয়ারম্যান-মেম্বার পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধি থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সরকারের অধীনে হতে হবে, যেমনটি পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। কারণ, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে যারা নির্বাচিত হবেন তারা তো প্রকৃত জনপ্রতিনিধি হবেন না।

এ বর্ধিত নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী নমনীয়তা প্রকাশ করেছে। আবু তাহের জানান, বিভিন্ন পক্ষ জেলা পরিষদ, উপইউনিয়ন পর্যন্ত অন্তর্ভুক্তির কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সকলে মিলে যে পর্যন্ত ঐকমত্য হতে পারি, সেখানে জামায়াত ইসলামী তার মতকে সংশোধন করতে পারে।

বৈঠকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রায় সবাই একমত হয়েছেন বলে জানান আবু তাহের—তা হলো গোপন ব্যালটে নির্বাচন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার শুরু থেকেই সকল অভ্যন্তরীণ নির্বাচন গোপন ব্যালটে করে থাকে। তাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এ নিয়ম কার্যকর হলে তা ভোটের জন্য ভালো।

এছাড়া জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়েও প্রস্তাব দিয়েছে, যা এখনো আলোচনার এজেন্ডায় আসেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আজকের ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান, রাষ্ট্রের মূলনীতি ও নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইএসএস/ এসবিডব্লিউ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।