জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির দায় সরকার এড়াতে পারে না বলেও দাবি করেছে দলটি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা পঞ্চগড়, গাজীপুর, নাটোর, মৌলভীবাজার ও সিলেটে দুই দিনের ব্যবধানে পাঁচজনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে জোনায়েদ সাকি ও আবুল হাসান বলেন, দুই দিনে পাঁচজন মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির বহিঃপ্রকাশ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা, এবং এই ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তারা বলেন, অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। পুলিশ কাঠামো পুনর্গঠন করে জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ছাড়া জনজীবনে স্বস্তি আসতে পারে না এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথেও এটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারকে অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে।
আরকেআর/এমইউএম