ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইবিতে ছাত্রলীগকর্মীর মাথা ফাটিয়ে পালালো বহিরাগত

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
ইবিতে ছাত্রলীগকর্মীর মাথা ফাটিয়ে পালালো বহিরাগত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগকর্মী আরিফুল ইসলামের মাথা ফাটিয়ে পালিয়েছে এক বহিরাগত। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।



সোমবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ হাসিনা হলের মাঝের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

বহিরাগতের মারধরে আহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা দেওয়া হয়েছে। আরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম গ্রুপের কর্মী আরিফুল, আকাশ ও সাওন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাত্রী হল এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু হলের দিকে আসছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে কেউ একজন আরিফের মাথায় লাঠি বা ইট দিয়ে আঘাত করে। আঘাতের শব্দ শুনে আরিফের সঙ্গী আকাশ ও শাওন পেছনে ফিরে আরিফকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন।

আকাশ ও শাওন জানান, আরিফকে আঘাতের পর এক তরুণকে হলের পেছনে দৌঁড়ে সীমানা প্রাচীর পার হতে দেখা যায়। পরে তারা আরিফকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিলে তার মাথায় চারটি সেলাই দেন কর্তব্যরত ডাক্তার।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। তবে এ ঘটনার পর সহকারী প্রক্টর আলতাফ হোসেন ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি।

এদিকে, ছাত্রলীগকর্মী আরিফের ওপর চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের মধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, আরিফের সঙ্গে আরও দু’জন থাকা সত্ত্বেও একজন বহিরাগত তাকে মেরে কীভাবে পালিয়ে গেল। এসময় ওই হামলাকারীর সীমানা প্রাচীর টপকাতেও সময় লেগেছে। আরিফের সঙ্গে থাকা অন্য দুই ছাত্রলীগ কর্মী হামলাকারীকে ধাওয়া করলে প্রাচীর টপকানোর আগেই তাকে ধরা সম্ভব হতো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বহিরাগতদের অবাধ চলাফেরার কারণেই আজ এ ঘটনা ঘটলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিরাগত প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ছাত্রলীগ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে বার বার জানানো সত্ত্বেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. টি এম লোকমান হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল কল রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।