ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফরিদপুরের সদরপুরে বিএনপির পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
ফরিদপুরের সদরপুরে বিএনপির পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা বিএনপির একাংশ ‘পকেট কমিটি’ গঠনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোল্লা মার্কেটে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


   
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোকলেছুর রহমান খান। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশব্যাপী দলের প্রকৃত, ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাকর্মীর সমন্বয়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সে নির্দেশ উপেক্ষা করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী বদরুত জামান তাদের অনুগত, অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে গোপনে বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন কমিটির নামে পকেট কমিটি গঠন করছেন।
  
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, এ চক্রান্তকারীরা এর আগেও চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে পকেট কমিটি গঠন করে সদরপুর উপজেলার বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন।
     
লিখিত বক্তব্যে অবিলম্বে সদরপুর উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের সকল ত্যাগী, পরীক্ষিত, যোগ্য ও জননন্দিত নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রকাশ্য সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়।
   
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি হারুন খন্দকার, কৃষকদলের সাবেক সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন, সদরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মোঃ কবির মোল্লা প্রমুখ।
 
উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলো গঠন শুরু হয়। এ কাজে মূল ভূমিকা পালন করছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী বদরুত জামান। গত ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটি ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
  
তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী বদরুত জামান বলেন,  প্রকাশ্যে সম্মেলনে প্রকাশ্যে ভোটের মাধ্যমে সকলের উপস্থিতিতে কমিটিগুলো গঠন করা হচ্ছে। এটি কিভাবে পকেট কমিটি হয়, তা বোধগম্য নয়।

তিনি বলেন, যারা এসব অভিযোগ করছেন, তাদের বিগত বছরগুলোতে মাঠে দেখা যায়নি। বরং আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের লেজুরবৃত্তি করতে দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যে মাকলেছুর রহমান খান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন তাকে ২০০১ সালে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। সে বহিস্কারাদেশ এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।

এর আগে চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গা বিএনপির একাংশ নিজ নিজ উপজেলায় একই ধরনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।