ঢাকা: দেশে ‘ক্রান্তিকাল চলছে’ তা আর বলতে চাই না। কেননা, ক্রান্তিকাল চলছে বলতে বলতে ক্রান্তি আমাদের পেয়ে বসেছে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ একথা বলেন।
‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এ আলোচনাসভা আয়োজন করে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা পরিষদ, যার আহ্বায়ক এমাজউদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, ক্রান্তিকাল চলছে বলতে বলতে ক্রান্তি আমাদের পেয়ে বসেছে। তাই ক্রান্তিকাল চলছে আর বলতে চাই না। দেশে এখন সংকটকাল চলছে। এই সংকট ইতিহাস বিকৃতির সংকট। তবে তরুণ প্রজন্মের কর্মকাণ্ড যদি দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে যায়, তবে সংকট কেটে যাবে।
তিনি বলেন, যেভাবে দেশের ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে, তা রোধ না হলে আগামীকে শেখাবো কী? তাই প্রকৃত ইতিহাস তুলে আনতে হবে। এভাবে আমরা অগ্রসর হতে চাই।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ইতিহাস সেকেন্ডারি সোর্স বা ওয়াল সোর্স থেকে লেখা হয়। তাই মুক্তিযুদ্ধের সময়কার যারা বেঁচে আছেন, তাদের সঙ্গে যোগযোগ রক্ষা করা দরকার। এজন্যই এমন এক সংগঠন করতে চাই যারা প্রকৃত তথ্য বের করে আনবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য সবকিছু করছে। কিন্তু আইন দিয়ে ইতিহাস বদলানো যাবে না।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম বিভিন্ন জায়গা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এখন যেসব সরকারি লাইব্রেরিতে বিভিন্ন বইয়ে জিয়ার নাম রয়েছে, সেগুলোও খুঁজে বের করে পুড়ে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু জোর জবরদস্তি করে মানুষের মন থেকে কারো নাম মুছে ফেলা যায় না।
সরকার সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন যারা ‘দলকানা’। সেসব বুদ্ধিজীবীরা জিয়ার ভালো কিছুই খুঁজে পান না। সরকার তাদের লালন পালন করে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইউসুফ হায়দার, কবি আব্দুল হাই শিকদার, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু সাঈদ, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব অমর চন্দ্র মিস্ত্রী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫/আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা
ইইউডি/জেডএস/এএ