ঢাকা: দেশে কোটিপতির সংখ্যা গত ৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
“মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র শীর্ষক” আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ অগ্নিসেনা সংসদ।
মাহবুব হোসেন বলেন, এই কোটিপতি কারা, এদের টাকা কোথা থেকে এলো। সুইচ ব্যাংকে কার কতো টাকা আছে প্রকাশ করুন।
বর্তমান সরকারকে অবৈধ আখ্যায়িত করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, অবৈধ সরকার মুখে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবে ভিন্ন, উন্নয়ন হয়েছে তবে দেশের না সরকারের লোকের।
অগ্নিসেনা সংসদের চেয়ারম্যান তালুকদার জহিরুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির খান প্রমুখ।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারি লোকেরা বিদেশে টাকা পাচার করে দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন হয়নি হয়েছে তাদের।
সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে। দেশে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্র না থাকলে মানবাধিকার থাকে না, মানুষের মৌলিক অধিকার থাকে না। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে অবৈধ সরকারের উৎখাত করতে হবে। এজন্য দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। সেই সুযোগ অবৈধ এই সরকার নষ্ট করেছে। তাই সংবিধান সংশোধন করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, কেউ যদি মনে করে বিরোধী মতের লোকদের বিরুদ্ধে হামলা, মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমিয়ে রাখা যায়, তাহলে তারা আহাম্মক। হামলা, মামলা দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, অবৈধ এই সরকার গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। তারা সরকারি সকল অর্গানগুলোকে জনগণের বিপক্ষে ব্যবহার করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের পক্ষে ব্যবহার করছে। অগণতান্ত্রিক সরকারের কাছে দাবি করে কোনো সমাধান হবে না, তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হবে।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভয়ে ভীত হয়ে সরকার তাদের বিরুদ্ধে বেসামাল কথা-বার্তা বলছে। তারা নিজেরাই ষড়যন্ত্রকারী বলে অন্যদের মধ্যে ষড়যন্ত্র খুঁজে বেড়ায়। তারা তাদের দুশাসন অন্যায় নিয়ে কথা বলতে দিতে চায় না। তাদের নিজেদের উপর নিজেদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। তাই তাদের এক এক নেতা এক এক রকম কথা বলছে। তারা বেসামাল হয়ে গেছে। সরকারের সময় ফুরিয়ে আসছে। আর সময় নেই। অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিন, তা না হলে আপনাদের বিদায় সুখকর হবে না।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সমালোচনা করে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ওই বেটা কসাই, এখন গণতন্ত্র নিয়ে বড় বড় ছবক দিচ্ছে। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় খালেদা জিয়ার পিছে পিছে ঘুর ঘুর করছে, তাদের ফর্মূলা নেননি দেশনেত্রী, তখন স্বস্তা দামে হাসিনার কাছে সেই ফর্মূলা বিক্রি করে এখন বড় বড় কথা বলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫
এসএম/বিএস