ঢাকা: দেশব্যাপী জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে অন্যদিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম। তবে সিগন্যালে গাড়ি থেমে থাকার দৃশ্যও দেখা গেছে।
কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যান চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মমুখী মানুষ বেরিয়েছে নগরীর রাস্তায়। হরতালে আতঙ্ক নয় বরং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তারা।
হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, বিজিবি। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, র্যাবের ভ্যান টহল দিতে দেখা গেছে।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, বাংলামটর, মগবাজার, রামপুরা, কমলাপুর, কাকরাইল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে হরতালে রাস্তায় যানবাহন কম থাকায় গাড়ি পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অফিস ও কর্মক্ষেত্রগামী যাত্রীদের। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
কুয়াশার কারণে সকাল থেকেই রামপুরা টিভি সেন্টার, মালিবাগ রেলগেট, মগবাজার এলাকায় যান চলাচল ছিলো কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। যাত্রীদের চাপ ছিলো স্বাভাবিক। তবে অন্যান্য দিন সকালে এসব এলাকায় যানজট থাকলেও, আজ রাস্তা কিছুটা ফাঁকা।
রামপুরায় বাসের জন্য অপেক্ষমান চাকরিজীবী আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হরতাল হলেও আমার যারা সাধারণ মানুষ, তাদের তো অফিসে যেতেই হবে। শুধু শুধু জনগণকে আতঙ্কিত করতে হরতাল দিয়েছে জামায়াত।
মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদা এলাকায় রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। এখানকার ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্য দিনেও এ এলাকায় এমন চিত্রই দেখা যায়।
মুগদা এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল আজিজুর রহমান আজিজ জানান, সকাল থেকে এ এলাকায় সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে রোববার কাকরাইল এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের কারণে এ এলাকায় আজ যান চলাচল কম। সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও কম।
কমলাপুর স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যান চলাচল কম থাকলেও ব্যস্ত মানুষের ভিড় চোখের পড়ার মতো। বিভিন্ন স্থান থেকে স্টেশনে নেমে বাস পেতে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ট্রেনযাত্রীদের।
স্টেশনের সামনের রাস্তায় লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ট্রেনযাত্রী শারমিনা আক্তার। বিরক্তি নিয়ে বললেন, আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। বাস পাচ্ছি না। রিকশা চালকরাও যেতে চাচ্ছে না। এদিকে সিএনজি চালকরা চাচ্ছে ডাবল ভাড়া। তারা (জামায়াত) অযথাই হরতাল ডাকে, আর দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের।
নগরীর অনেক সড়কে হরতালবিরোধী মিছিল চোখে পড়েছে।
এসব এলাকার কোথাও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, এ এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। বিজিবিও রয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে। যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
জেডএফ/আরএম