বরিশাল: আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষের সময় ইট ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাত আড়াইটায় কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহার উপস্থিতিতে হাবিবুর রহমান ও জামিলুর রহমান ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উভয় পক্ষকে দুই ছাত্রাবাসের ভেতরে অবস্থান নিতে বলার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বরিশাল মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত মেডিসিন ক্লাবের ১৮তম সেন্ট্রাল কনফারেন্সে কলেজ ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তুহিনের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা যোগ দিয়ে জোর পূর্বক বক্তব্য রাখেন।
এ ঘটনায় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাছিম কলেজের পদবঞ্চিত নেতাদের নিয়ে ছাত্রলীগের ওই নেতাদের উপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নব গঠিত কমিটির নেতারাও পাল্টা অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হলে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পদবঞ্চিত অনুপ সরকারের সমর্থকরা সড়কের ওপর আগুন জ্বালিয়ে ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে, পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে সভাপতি-সম্পাদকের সমর্থকরা। পরে পদবঞ্চিতরা দেশিয় সস্ত্র ও লাঠি নিয়ে অবস্থান নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশের উপস্থিতি কমে যায়, রাত ২টার দিকে অনুপ সরকারের সমর্থকরা কমিটির পক্ষের নেতাদের ওপর হামলা চালাতে গেলে ফের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল আলমসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।
এ বিষয়ে কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন জানান, মেডিসিন ক্লাবের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ায় সেখানে যান তারা এবং অনুষ্ঠানের খোঁজ-খবর নিয়ে চলে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরেই পদবঞ্চিতরা ২ নম্বর ছাত্রাবাসের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে জানানো হলে, তিনি ঘটনাস্থলে এসে একপাক্ষিক মনোভাব দেখান।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন জানান, ওই ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত রাখার কথা বললে আমরা ছাত্রাবাসের ভেতরে চলে যাই। কিন্তু গুটি কয়েক ছাত্রলীগের নামধারী নেতা হামলা চালায়।
কমিটির কার্যক্রম স্থগিত থাকার তারপরও তারা জোর করে নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে, অভিযোগ অনুপ সরকারের।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এটি