ঢাকা: শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম। সকল কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণার উৎস তিনি।
২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। তার শাহাদত বার্ষিকীতে আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন একটি অবিস্মরণীয় নাম।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের এই সর্বোচ্চ ত্যাগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সকল কর্তৃত্ববাদী-স্বৈরাচারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি আমাদের প্রেরণার উৎস।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, দেশে গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের কবলে পড়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনাও আজ বিপর্যস্ত। ভোটারবিহীন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ক্ষমতায় থাকার লিন্সা দেশ-জাতিকে এক গভীর সংকটের মধ্যে ফেলেছে। এই রাজনৈতিক সংকটে জনগণের ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
ডা. মিলনের আত্মত্যাগকে সার্থক করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
এইচএ/