ঢাকা: দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নের ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচনে যাওয়া ঠিক হবে কি না- এ ব্যাপারে জোট শরিকদের কাছে মতামত চাইলে বেশিরভাগ শরিক নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দেয়। এরই ভিত্তিতে দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচনে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া। তবে এ সিদ্ধান্ত এখনই মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করতে চান না তিনি।
জানা গেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে জোটের অবস্থান তুলে ধরবেন জোট নেত্রী খালেদা জিয়া।
এ ব্যাপার জানতে চাইল বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন জোট নেত্রী খালেদা জিয়া। অনেক দিন জোট নেতাদের সঙ্গে তার দেখা-সাক্ষাৎ ছিল না। তাই আজকের বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবেই দেখছি। তারপরও স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মতামত জানতে চেয়েছেন জোট নেত্রী। আমরা মতামত দিয়েছি। এখন সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিশের ড. আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির ড. রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গাণি, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, মুসলীম লীগের জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মুহম্মদ ওয়াক্কাস, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ, পিএল’র গরীবে নেওয়াজ, ডিএল’র সাইফুদ্দিন মণি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
আরএম