ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে নেতৃত্বের পরিবর্তন ও জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি বলে মত দিয়েছে বিশিষ্টজনরা।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে নাগরিক উন্মুক্ত ফোরাম (সিওএফ) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিওএফ ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, রাজনৈতিক উৎকর্ষতা আমাদের করণীয়’ মাসিক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উৎকর্ষতা তখনই বাড়বে যখন সবার মানসিকতার পরিবর্তন আসবে। উৎকর্ষতার জন্য রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, শিষ্টাচার, মেধার মূল্যায়ন প্রয়োজন। রাজনীতিবিদদের থাকার প্রয়োজন নৈতিকতা। প্রয়োজন নাগরিকদের অংশগ্রহণ।
তারা বলেন, বাঙালি যতদিন এক হতে পারবে না ততদিন রাজনীতিতে উৎকর্ষতা আসবে না। আমরা যা বলি ব্যক্তি জীবনে তা করি না। সুশীল সমাজও তাই।
তারা আরো বলেন, রাজনীতিতে ভালো মানুষ নেই। ব্যক্তিগত লোভ আর উৎকর্ষতা নেই বলে ভালো মানুষ গিয়েও ভালো থাকতে পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে হবে। তা না হলে দেশে পরিবর্তন আসবে না। নৈতিকতার মূল অবক্ষয় শিক্ষা থেকে। সেখানে ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ বলতে শেখানো হয় না। শিক্ষিত মানুষরাই আজ রাজনীতিতে বড় বোঝা। আমরা শ্রদ্ধা করতে ভুলে গেছি। রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে সত্য বড়ই প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব শেষ এটা ঠিক নয়। আমাদের এখনো অনেক কিছু করার আছে। নাগরিক অধিকার নিয়ে নাগরিকরা সচেতন হলে রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে।
বক্তা বলেন, রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে রাজনৈতিক দল ও নেতার মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি এবং জনগণের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে তরুণদের রাজনীতি মুখী করতে হবে। সবাইকে স্বার্থের ঊর্ধ্বে ও ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
বৈঠকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, সিলেট ক্যাডেট কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল মো. বদরুদ্দোজা, উন্নয়নকর্মী মো. সাইদুল আহসান রিয়াল, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ রসুল, চৌধুরী কাউসার রাসেল, প্রকৌশলী আনিসুর রহমান রাজিব, রাশেদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
বৈঠক পরিচালনা করেন সংগঠনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
আরইউ/আরআই