ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোটারদের কুকুর বলায় খালেদাকে ক্ষমা চাইতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৬
ভোটারদের কুকুর বলায় খালেদাকে ক্ষমা চাইতে হবে

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ভোটারদের ‘কুকুর’ বলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাজাকার-আলবদর ও পাকিস্তানের হয়ে খালেদা জিয়া ভোটারদেরকে ‘কুকুর’ বলেছেন।

খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কোনো মানুষ ছিলো না, পুলিশ আর কুকুর ছিলো’। এটা জনগণ বরদাশত করবে না। দেশের মানুষকে ‘কুকুর’ বলার মতো ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন খালেদা জিয়া। তার এ ঔদ্ধত্যের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা খালেদা জিয়ার তওবা ও ক্ষমা চাইতে হবে। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও ভোটারদের কুকুর বলার জবাব দেশের জনগণের কাছে দিতে হবে। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার জন্য খালেদা জিয়ার বিচার হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ দেশের জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সাহস দেখাতে না পারে।

শনিবার (০৯ জানুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দেওয়া সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।

‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার যায়নি, শুধু পুলিশ আর কুকুর ছিল’- খালেদা জিয়ার এ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষকে নিয়ে এতো বড় নোংরা কথা বলার অধিকার খালেদা জিয়াকে কে দিয়েছে? এতো বড় নোংরা ও জঘন্য কথা তার মুখেই কেবল সাজে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচন বানচালের নামে শত ষড়যন্ত্র, নাশকতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। ঘরে বসে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দেশের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোটার সাহসের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ নির্বাচনে শুধু ভোটারই নন, বিপুল সংখ্যেক নির্বাচনী অফিসার, প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরাও দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ তিনি (খালেদা জিয়া) সবাইকে কুকুর হিসেবে দেখেছেন? তার দৃষ্টিতে সব কুকুর হয়ে গেল! কী অর্ডাসিটি (ঔদ্ধত্য) তার? মানবসন্তান ও ভোটারদের কুকুর হিসেবে দেখলেন। দেশের মানুষকে কুকুর বলার অধিকার তাকে কে দিয়েছে?

তিনি বলেন, একমাত্র জলাতঙ্ক রোগ হলেই নাকি মানুষ চোখে কুকুরের বাচ্চাই দেখে। তার জলাতঙ্ক রোগ হয়েছে। এ কারণে তিনি (খালেদা জিয়া) এখন সবাইকে কুকুর দেখছেন। তাকে কোন কুকুর কামড়িয়েছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছু মানুষের বিরোধিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কল্যাণ ও সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করছি। অনেক স্থানের সয়েল টেস্ট হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই সেখানে একটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। মেট্রোরেল যাবে ওপর দিয়ে, এখানে বাধা কেন? হঠাৎ করেই কিছু জায়গায় থেকে বিরোধিতা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হলে নাকি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে!

আর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দিয়ে রেললাইন ছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়েই ট্রেন চলেছে, তখন তো কেউ বাধা দেয়নি। এখন পড়াশোনা করতে চাইলে বাস-ট্রেনে চলতে চলতেও করা যায়। শুধুমাত্র এ অজুহাত দিয়ে বিরোধিতা করা সরকারের উন্নয়ন বন্ধ করতেই করা হচ্ছে কি না, তা জানি না। উন্নয়নে বাধা দেওয়া হলে উন্নয়ন হবে কিভাবে?

** আ’লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়ন হয়

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জানুয়রি ০৯, ২০১৬
এসকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।