ঢাকা: ২০১৬ সালের মধ্যে বিএনপি ভেঙে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যকলাপে মনে হচ্ছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নেতারা তার দল থেকে বেরিয়ে যাবেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন। সকালে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘উন্নয়নের ধারায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন বর্জন করে যেভাবে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সেভাবে তার দলকেও ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছেন। আজ বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন প্রায়। তবে তার দল বিএনপি রক্ষা হবে যদি তিনি গণতন্ত্রের পথে হাঁটেন।
তিনি বলেন, ধ্বংসাত্মক কাজ না করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন, তাহলে দল ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন বা সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী একেবারে ২০১৮ সালের শেষ পর্যায়ে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই সমাবেশের জন্য অনুমতি নিতে হয়। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই আপনারা সরকারকে সমালোচনা করতে পারছেন। সরকারের সমালোচনা করেন ভালো, কিন্তু সরকারের সফলতাগুলোও স্বীকার করবেন। সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেলের স্বীকৃতি দিয়েছে, সেটাও স্বীকার করবেন।
তিনি আরও বলেন, সমালোচনার পাশাপাশি প্রশংসা করার সংস্কৃতি চালু করুন। গণতন্ত্রের পথে আসুন, দেশ ও আপনাদের দল উপকৃত হবে। দেশে উন্নয়ন ব্যাহত করবেন না, মানুষ পুড়িয়ে মারবেন না, মানুষকে অবরুদ্ধ করবেন না।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য শেখ হাসিনাকে আরও সময় দিতে হবে। আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন।
মাকছুদুর রহমান মাকছুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মনোরঞ্জন ঘোষাল, অরুণ সরকার রানা, ফাতেমা জলিল সাথী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
এসকে/এএ