বাগেরহাট: বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবুসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৩৪ নেতাকর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ৩৪ আসামির প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলার রায়ে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহিদুল আজাদ এ রায় দেন।
২০১৩ সালে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া মামলা দু’টিতে বিএনপি ও জামায়াতের মোট ২০৭ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিলো।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু ছাড়াও রয়েছেন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি এমএ এইচ সেলিম ও জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালামের দুই ভাই আব্দুর রব ডাকুয়া এবং সাহিন ডাকুয়া, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাসারত হাওলাদার, ইউনিয়ন জামায়াত আমির মোবারক মোল্লা। এদের মধ্যে মোবারক মোল্লা বাদে বাকীরা পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের মুখ্যাইট মোড় এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননার অভিযোগে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফ্ফারের দায়ের করা ওই মামলায় ১১৭ জনকে আসামি করা হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. এনায়েত ওই বছরের ২০ আগস্ট ১১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আদালত রায়ে বিএনপি-জামায়াতের ১১ জনকে অভিযুক্ত করে সাজা দেন।
এছাড়া ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কু-কুড়ামারা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফররুখ আহমেদ একই বছরের ৩০ অক্টোবর ৯৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত এ মামলার রায়ে ২৩ জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
আরএ